চিকিৎসা এবং ওষুধ
চিকিৎসক ক্যান্সার কোষের ধরণ, ক্যান্সারের পর্যায়, হরমোনের সংবেদনশীলতা, রোগীর সামগ্রিক স্বাস্থ্য এবং রোগীর নিজের মতামতের উপর ভিত্তি করে স্তন ক্যান্সারের চিকিৎসা ধরণ নির্ধারণ করে থাকেন। অধিকাংশ রোগীর স্তন ক্যান্সারের জন্য চিকিৎসা/অস্ত্রোপাচার করা হয় এবং এর সাথে কেমোথেরাপি, হরমোন থেরাপি বা বিকিরণ থেরাপিও প্রয়োজন হয়।
স্তন ক্যান্সারের নানাবিধ চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রচলিত আছে এবং অনেক সময় চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে রোগীকে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগতে হয়। এজন্য একজন স্তন বিশেষজ্ঞ বা স্তন পরিচর্যা কেন্দ্রে/ক্লিনিকে যোগাযোগ করে দ্বিতীয় মতামত বিবেচনা করা যেতে পারে। স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত অন্যান্য রোগীর সাথে এব্যাপারে আলাপ আলোচনা করা যেতে পারে।
স্তন ক্যান্সারে শল্যচিকিৎসা/অস্ত্রোপাচার
স্তন ক্যান্সার চিকিৎসায় যে সকল শল্যচিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে তা হল-
- ক্যান্সার আক্রান্ত চাকা (টিউমার) অপসারণ
এতে স্তন সংরক্ষণ করে টিউমার/চাকা অপসারণ বা স্থায়ীভাবে টিউমার অপসারণ করা যায়। এখানে শল্যবিদ টিউমার এবং এর আশেপাশে সুস্থ টিস্যু অপসারণ করেন। সাধারণত ছোট টিউমার যেগুলো পার্শ্ববর্তী টিস্যু থেকে সহজে অপসারণ করা যায় সেগুলোর ক্ষেত্রে এধরণের অস্ত্রোপাচার করা হয়।
- সম্পূর্ণ স্তন অপসারণ
এধরণের অস্ত্রোপাচারে সম্পূর্ণ স্তন ফেলে দেওয়া হয় অথবা স্তন এবং এর নিচের বুকের খাঁচার মাংসপেশি, বগলের লসিকাগ্রন্থিসহ আনুসাঙ্গিক আক্রান্ত টিস্যু অপসারণ করা হয়। সাধারণত এখন আর তেমন করা হয় না। কোন কোন রোগীর স্তনের চামড়া সংরক্ষণ করে বিকল্পভাবে স্তন পুনর্গঠন করা হয়।
-একটি লসিকা অপসারণ
যদি ক্যান্সার বগলের একটি লসিকাগ্রন্থিতে ছড়িয়ে পড়ে তবে শল্যবিদরা এই গ্রন্থিসহ আশেপাশের অন্যান্য কিছু লসিকাগ্রন্থিও অপসারণ করেন। এই লসিকাগ্রন্থি যে পদ্ধতির মাধ্যমে অপসারণ করা হয় তাকে প্রহরী লসিকাগ্রন্থি বায়োপসি বলে এবং অপসারণের পর তাতে স্তন ক্যান্সার কোষ আছে কিনা তা পরীক্ষা করা হয়। যদি এতে কোন ক্যান্সার কোষ না থাকে তাবে অবশিষ্ট লসিকাগ্রন্থিতে ক্যান্সার কোষ পাওয়ার সম্ভাবনাও কম থাকে এবং এজন্য সেগুলো অপসারণ করাও প্রয়োজন পরে না।
- বগলের লসিকাগ্রন্থিসমূহ অপসারণ
যদি শল্যবিদরা বগলের প্রহরী লসিকাগ্রন্থিতে ক্যান্সার কোষ পান তবে তারা বগলের অতিরক্তি লসিকাগ্রন্থি অপসারণ করেন। যদিও প্রমাণিত যে ২ ইঞ্চি – ৫ সেন্টিমিটার এর সমান স্তনের প্রাথমিক পর্যায়ের টিউমারের ক্ষেত্রে যেখানে বগলের অল্পসংখ্যক লসিকাগ্রন্থি আক্রান্ত হয়েছে সেখানে স্তন টিউমার অপসারণ কেমোথেরাপি এবং পুরো স্তন বিকিরণ চিকিৎসা রোগীদের অতিরিক্ত লসিকাগ্রন্থি অপসারণের ক্ষেত্রে রোগীর বেঁচে থাকার অনুপাত বাড়ায় না। এধরণের প্রাথমিক টিউমারের ক্ষেত্রে স্তন টিউমার অপসারণের পর কেমেোথেরাপি এবং বিকিরণ চিকিৎসাই সমভাবে কার্যকর এবং প্রমাণিত। এই চিকিৎসা লসিকাগ্রন্থি অপসারণের ফলে হাতের দীর্ঘস্থায়ী ফোলার মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এড়ানো হয়।
বড় স্তন টিউমারের ক্ষেত্রে অথবা যদি শরীরিক পরীক্ষার সময় বগলের কোন লসিকাগ্রন্থি হতে অনুভূত হয় সেসব ক্ষেত্রে বগলের লসিকাগ্রন্থির ব্যবচ্ছেদ করা হয়। যদি কোন রোগীর আংশিক স্তন বিকিরণ চিকিৎসা নিতে চায় তাদের ক্ষেত্রেও লসিকাগ্রন্থির ব্যবচ্ছেদ করা যেতে পারে।
স্তন ক্যান্সারের শল্যচিকিৎসার জটিলতা কি ধরণের শল্যচিকিৎসা নির্বাচন করা হবে তার উপর নির্ভর করে। শল্যচিকিৎসায় রক্তপাত ও সংক্রমনের ঝুঁকি থাকে।
কিছু মহিলা শল্যচিকিৎসার পর স্তন পুর্নগঠন করতে চান। এব্যাপারে শল্যবিদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করতে হয়। স্তন ক্যান্সারের অপারেশনের আগে একজন প্লাস্টিক শল্যবিদের সাথে পরামর্শ করা যেতে পারে। স্তন পুর্নগঠনের ক্ষেত্রে কৃত্রিম স্তন ইমপ্লান্ট বা নিজের শরীরের টিস্যু ব্যবহার নির্বাচন করা হয়। এই অস্ত্রোপাচার স্তন ক্যান্সার অপারেশনের সময় বা তার পরবর্তী সময় করা হয়।
বিকিরণ চিকিৎসা
উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন শক্তির বিকিরণ চিকিৎসা ব্যবহার করে ক্যান্সারের কোষ নির্মূল করা হয় (যেমন: এক্সরে), রেডিও থেরাপি সাধারণত একটি বড় মেশিনের সাহায্যে শরীরের দিকে লক্ষ করে তেজস্ক্রিয় রশ্মি প্রয়োগ করে। তাছাড়া শরীরের ভেতরে তেজস্ক্রিয় পদার্থ স্থাপন করেও বিকিরণ করা যায়।
-বাহ্যিক বিম রেডিয়েশন
বাহ্যিক বিম বিকিরণ সাধারণত প্রারম্ভিক স্তরের স্তন ক্যান্সারের জন্য ব্যবহার করা হয়। চিকিৎসকেরা অনেক বড় স্তন ক্যান্সারের জন্য লাম্পেকটমির পরে বিকিরণ থেরাপির পরামর্শ দিতে পারেন। এই রেডিও থেরাপি যেসব মহিলাদের উপর ব্যবহার করা হয় যাদের সেন্টিনেল নোড বায়োপসি নেগেটিভ হয় এবং এতে তাদের অন্যান্য লসিকাগ্রন্থিতে ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।
রেডিওথেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলো- ক্লান্তিভাব এবং সে অংশের চামড়ায় রোদে পোড়া, লালা ফুসকুড়ি হতে পারে, এছাড়া স্তন ফোলা এবং স্তনের চামড়া অধিক দৃঢ় মনে হতে পারে।
কেমোথেরাপি
কেমোথেরাপি ক্যান্সার কোষকে ধ্বংসকারী ওষুধ হিসেবে কাজ করে। যদি ক্যান্সার পুনরায় হওয়ার এবং শরীরের অন্য অংশে ছড়িয়ে পড়ার কোন আশঙ্কা থাকে তখন চিকিৎসক কেমোথেরাপির পরামর্শ দিতে পারেন। যা ক্যান্সার পুনরায় হওয়ার আশঙ্কা দূর করে। একে বলা হয় এডজুভেন্ট সিস্টেমিক কেমোথেরাপি।
কেমোথেরাপী মাঝে মধ্যে কিছু মহিলাদের স্তনের অস্ত্রোপাচারের পূর্বে দেয়া হয়, যাদের স্তনের টিউমার অনেক বড় থাকে। চিকিৎসকরা একে নিউএডজুভেন্ট কেমোথেরাপী বলেন। এর উদ্দেশ্য হলো টিউমারের আকৃতিকে ছোট করা। যাতে অস্ত্রোপাচারের মাধ্যমে তা সহজে অপসারণ করা যায়। এটি আরোগ্য লাভের সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে দেয়। নিউ এডজুভেন্ট কেমোথেরাপীর উপর গবেষণা চলছে যা নির্ণয় করার চেষ্টা করছে যে কারা এ চিকিৎসা ব্যবস্থা থেকে সুফল পাবে।
কেমোথেরাপী ব্যবহার করা হয় মহিলাদের জন্য যাদের ক্যান্সার শরীরের অন্যান্য অংশেও ছড়িয়ে পড়েছে। ক্যান্সারকে নিয়ন্ত্রেণে রাখার জন্য এবং ক্যান্সার এর উপসর্গ সমূহ লাঘবের জন্য চিকিৎসকরা কেমোথেরাপী সুপারিশ করতে পারেন।
কেমোথেরাপী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নির্ভর করে কেমোথেরাপীর ওষুধের উপর। সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুলো হচ্ছে- চুল পড়া, বমি বমি ভাব, বমি হওয়া, ক্লান্তি ভাব এবং ইনফেকশন হওয়া অল্প ঝুঁকি।
হরমোন থেরাপি
হরমোন থেরাপি অথবা হরমোনকে বন্ধ করে দেওয়ার থেরাপি: সাধরাণত যে সব স্তন ক্যান্সার এর হরমোনের সংবেদনশীলতা আছে সেসব ক্যান্সারে ব্যবহার করা হয়। চিকিৎসকেরা এই ক্যান্সারকে মাঝে মধ্যে ‘ইস্ট্রোজেন রিসেপটর পজেটিভ (ইআর পজেটিভ) অথবা প্রজেস্ট্রেরণ রিসেপটর পজেটিভ (পিআর পজেটিভ)’ ক্যান্সার বলে থাকেন।
হরমোন থেরাপী অস্ত্রপচার অথবা অন্যান্য চিকিৎসার পরে ব্যবহার করা যেতে পারে। যা পুনরায় ক্যান্সার হওয়া সম্ভাবনাকে কমিয়ে দেয়। যদি কারো ক্যান্সার ইতিমধ্যে ছড়িয়ে যায় তবে হরমোনথেরাপী একে কমিয়ে দিতে পারে এবং নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।
হরমোন থেরাপীতে নিম্নোক্ত চিকিৎসা অর্ন্তভুক্ত:
- চিকিৎসা ব্যবস্থা যা হরমোনকে ক্যান্সারের কোষের সঙ্গে যুক্ত হতে বাধা দান করেঃ
টেমোক্সিফেন সাধারণত সর্বাধিক ব্যবহৃত হয় সিলেকটিভ ইস্ট্রজেন রিসেপটর মডিউলেটর হিসেবে। ইস্ট্রোজেনকে ক্যান্সার এর কোষের সঙ্গে যুক্ত হতে বাধা দান করে। টিউমারের বৃদ্ধি ধীরে ধীরে করে এবং টিউমারের কোষকে মেরে ফেলে। টেমোক্সিফেন মহিলাদের মেনোপজ হওয়ার পূর্বে ও পরে উভয় ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা যায়। ইহার সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলো, ক্লান্তিভাব, গরম অনুভব করা, রাতে ঘাম হওয়া এবং যৌনাঙ্গ শুকনাভাব। সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলো- চোখে ছানি পড়া, রক্ত জমাট বাধা, স্ট্রোক এবং জরায়ু ক্যান্সার।
- চিকিৎসকরা যা মোনোপেজের পরে শরীরের ইস্ট্রোজেন তৈরি করা বন্ধ করে দেয়-
কিছু গ্রুপ এর ওষুধ যাকে বলা হয় এরামেটোস ইনহিবিটর, এনজাইম এর কাজকে বন্ধ করে যা শরীরের এন্ড্রোজেন হরমোনকে ইস্ট্রোজন হরমোনে পরিণত করে। এসব ওষুধ শুধুমাত্র মহিলাদের মেনোপেজের পরে কাজ করে। এরোমেটস ইনহিবিটর হলো: এনাস্ট্রজল, লেট্রোজল এবং এক্সমেসটেন। এধরণের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুলো হল: হাড় এবং মাংসপেশীতে ব্যাথা, হাড় পাতলা হয়ে যাওয়া (অস্টেওপরেসিস), আরেকটি ওষুধ ফালভেস্টমেন্ট, ইস্ট্রোজেনকে সরাসরি বাধা দেয় যা টিউমারের কোষকে বেঁচে থাকবার জন্য সহায়তা করে। ফালভেসট্রেন্ট সাধারণত সেসব মহিলাদের মেনোপেজের পরে ব্যবহার করা যায় যাদের অন্যান্য হরমোন বন্ধ করার থেরাপি কাজ করে না এবং যারা টেমোক্সেন খেতে পারেন না। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুলো হলো ক্লান্তিভাব, বমি বমি ভাব এবং গরম অনুভূতি হওয়া। ফালভেসট্রেন্ট ইনজেকশন এর মাধ্যমে মাসে একবার দেওয়া হয়।
- সার্জারী অথবা ওষুধ যা ডিম্বাশয়ের হরমোন তৈরিতে বাধা প্রদান করে:
মেনোপেজের পূর্বে যদি ডিম্বাশয় অপসারণ করা হয় অথবা ওষুধ দিয়ে ডিম্বাশয়ের ইস্ট্রজেন তৈরি বন্ধ করা যায় তাহলে ইহা একটি কার্যকর হরমোনের চিকিৎসা হতে পারে। এটিকে বলা হয় প্রফাইলেকটিক উফেরেকটমি অথবা সার্জাইক্যাল মেনোপেজ।
লক্ষ্যপূর্ণ ওষুধ
এসব ওষুধ ক্যান্সার এর কোষের মধ্যে নির্দিষ্ট কোন অস্বাভাবিকতাকে আক্রমন করে। অনুমোদেতি লক্ষ্যপূর্ণ ওষুধ হলো:
হারসেপটিন:
কিছু স্তন ক্যান্সার অতিরিক্তি পরিমাণ প্রোটিন তৈরি করে যাকে বলা হয় হিউমেন গ্রোথ ফেক্টর হারসেপটিন-২(HER 2)। হারসেপটিন এসব প্রোটিনকে লক্ষ্য করে যারা ক্যান্সারের কোষকে বৃদ্ধি ও বেঁচে থাকতে সহায়তা করে। যদি আপনার স্তন ক্যান্সার অত্যাধিক হারটু (HER 2) তৈরি করে তবে হারসেপটিন সেই প্রোটিনকে বাধা দেয় এবং ক্যান্সার কোষকে মেরে ফেলে। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো হল: হার্ট এর ক্ষতি, মাথাব্যাথা এবং চর্মে লাল ফুসকুরি অর্ন্তভুক্ত।
লেপাটিনিব:
লেপাটিনিব হার টু প্রোটিনকে লক্ষ্য করে এবং যে স্তন ক্যান্সার শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়েছে (অ্যাডভান্সড মেটাস্টেটিক ক্যান্সার) সেখানে ব্যবহার করা হয়। লেপাটিনিব সংরক্ষণ করে রাখা হয় সে সব মহিলাদের জন্য যারা ইতিমধ্যে হারসেপটিন চেষ্টা করেছেন এবং যাদের ক্যান্সার অনেকদূর অগ্রসর হয়ে পড়েছে । পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলো: বমি বমি ভাব, বমি, পাতলা পায়খানা, ক্লান্তি ভাব, মুখে ঘা, চামড়ায় লাল লাল ফুসকুরি এবং হাত ও পায়ে ব্যাথা।
এভাস্টিন:
এভাস্টিন এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যা ক্যান্সার কোষ এর সংকেত যা নতুন রক্তনালীকে আকর্ষিত করে তা বন্ধ করে দেয়। নতুন রক্তনালী ছাড়া যা টিউমারেকে অক্সিজেন এবং পুষ্টি সরবরাহ করে, ক্যান্সার কোষ মারা যায়। সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: ক্লান্তি ভাব, রক্ত জমাট বাধা, হার্ট এর ক্ষতি হওয়া্, কিডনী নষ্ট হওয়া, কনজেসটিভ হার্ট ফেলিওর, উচ্চ রক্তচাপ, মাখা ব্যাথা, ধীর ক্ষত নিরাময়। গবেষণায় দেখা গেছে, যদিও এই সব ওষুধ স্তন ক্যান্সারের বৃদ্ধি ধীর করে কিন্তু ইহা আয়ু বৃদ্ধি করে না। তাই স্তন ক্যান্সারের এভাস্টিন এর ব্যবহার বিতর্কিত।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নির্ভর করে আপনি কি ধরণের ওষুধ সেবন করবেন তার উপর। এসমস্ত ওষুধ অত্যন্ত ব্যয়বহুল।