ঝুঁকি

ঝুঁকির উপাদান হলো, যে কোন কিছু যা কোন নির্দিষ্ট রোগ তৈরি করতে সক্ষম। একটি অথবা একের অধিক ঝুঁকির উপাদান থাকলেই যে ক্যান্সার হবে এমন কোন আশঙ্কা প্রমানিত নয়। অনেক মহিলা আছেন যারা স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত কিন্তু তাদের কোন ঝুঁকির উপাদান পাওয়া যায়নি।

যে সব উপাদান স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়:

১. মহিলা: মহিলাদের স্তন ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি পুরুষদের চেয়ে বেশি।
২. বয়স: যত বয়স বৃদ্ধি হতে থাকে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি ততোই বাড়তে থাকে। অল্প বয়সের মহিলাদের চেয়ে বয়স্ক মহিলাদের বিশেষ করে ৫৫ বছরের বেশি বয়সি মহিলাদের  স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে।
৩. পূর্বে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে থাকলে: যদি কারো পূর্বে একটি স্তনে ক্যান্সার হয়ে থাকে তবে তার অন্য স্তনেও ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৪. পরিবারে স্তন ক্যান্সারের ইতিহাস থাকলে: যদি কারও মা, বোন অথবা মেয়ের স্তন ক্যান্সার হয়ে থাকে তবে তার স্তনে ক্যান্সারের আশঙ্কা অনেক গুণ বেশি। তবে স্তন ক্যান্সার ধরা পড়েছে এমন ব্যক্তিদের অধিকাংশরই কোন পারিবারিক ইতিহাস নেই।
৫. জন্মসূত্রে প্রাপ্ত জিন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়: কিছু জিনের বিভাজন ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায় তা বাবা-মা হতে সন্তানের মধ্যে পরিবাহিত হতে পারে। সবচেয়ে সাধারণ জিন বিভাজনকে বলা হয় বিআরসিএ-১ এবং বিআরসিএ-২, এই জিনগুলো স্তন এবং অন্যান্য ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু এর জন্য ক্যান্সার হবে তা অনিবার্য নয়।
৬. তেজস্ক্রিয়: শিশু অথবা তরুণ প্রাপ্তবয়স্ক তেজস্ক্রিয়/বিকিরণ রশ্মি দিয়ে চিকিৎসা করলে পরবর্তী জীবনে তার স্তন ক্যান্সারের বিকাশের সম্ভাবনা থাকে।
৭. স্থুলতা: মাত্রাতিরিক্ত ওজন (অথবা মোটা) স্তন ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। চর্বি ইস্ট্রোজেন হরমোন উৎপাদন করে, যা ক্যান্সারের জ্বালানি হিসেবে কাজ করে।
৮. তাড়াতাড়ি ঋতুস্রাব: ১২ বছর বয়স হওয়ার আগে ঋতুস্রাব হলে তা স্তন ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।
৯. দেরিতে মেনোপজ: ৫৫ বছর বয়সের পর যদি মেনোপজ হয় তা স্তন ক্যান্সারের বিকাশ ঘটাতে পারে।
১০. দেরিতে গর্ভবতী: ৩৫ বছরের পরে যদি কোন মহিলা প্রথম সন্তান জন্ম দেয় তবে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
১১. হরমোন চিকিৎসা: ঋতুজরার লক্ষণ ও উপসর্গ সমূহের জন্য যেসব মহিলা ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টেরনে মিলিত হরমোনের চিকিৎসা নেন তাদের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি থাকে।
১২. মদ্যপান: অতিরিক্ত মদ্যপান স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।

অন্যান্য ঝুঁকির উপাদান যা স্তন ক্যান্সার হওয়াতে কোন ভূমিকা পালন করে না। তার মধ্যে আটসাট করে ব্রা পড়া, ঘাম বিরোধী বিভিন্ন প্রসাধনী ব্যবহার, স্তন প্রতিস্থাপন।